• শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
রাজধানীতে ড্রাম থেকে উদ্ধার সেই খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত গাজীপুর সদরে পেট্রল বোমা নিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতিসহ আটক তিন নান্দাইলে ২১৫০পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বাস্তবায়ন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত  রংপুর- ৩ আসনের এমপি প্রার্থী সামুর ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের সাথে নির্বাচনী মতবিনিময় ময়মনসিংহে বাবা মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার পুলিশ  গাজীপুর-৬ আসন বহাল রাখার দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ  পৃথক দুটি অভিযানে ময়মনসিংহ সদর কোম্পানি র‍্যাব ১৪ ২পলাতক আসামি গ্রেফতার ময়মনসিংহ নগরীতে গাছের ডাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে এক কিশোরের মৃত্যু  বাড়ি ফেরার পথে যুবককে গুলি করে হত্যা

টঙ্গীর শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী ‘বড় আপা’ আরফিনা, ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন?

Reporter Name / ৩১০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম প্রতিনিধিঃ

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাংক মাঠ বস্তিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের জমজমাট ব্যবসা। এই বস্তির অন্যতম আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী আরফিনা বেগম, যিনি ‘বড় আপা’ বা ‘জামালের বউ’ নামেই এলাকায় বেশি পরিচিত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টঙ্গীতে কোথাও ফেনসিডিল না পাওয়া গেলেও, আরফিনার কাছে গেলে তা পাওয়া যায় নিশ্চিতভাবে। তার এই অবৈধ মাদক কারবারে তাকে সহায়তা করে স্বামী জামাল ও ভাই শ্রাবণ। তবে সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, গত ৬-৭ বছরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ তাকে একবারও গ্রেফতার করতে পারেনি।

বস্তির বাসিন্দারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আরফিনা এলাকায় একটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা চালালেও, সেটি আসলে তার মাদক কারবারের আড়াল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশের একাংশ ও কিছু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতার মদদেই বছরের পর বছর ধরে নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এই ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’।

ব্যাংক মাঠ বস্তি থেকে টঙ্গী পূর্ব থানা মাত্র কয়েকশ গজ দূরে হলেও, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। একাধিক জাতীয় দৈনিক ও স্থানীয় পত্রিকায় আরফিনার মাদক ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও, কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

এ বিষয়ে মাদক ব্যবসায়ী আরফিনার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে, টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের থানা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। মাদক রিকভারি না হলে কাউকে গ্রেফতার করা আইনি সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়ে। তবে বস্তির মাদক ব্যবসায়ীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে এবং খুব শিগগিরই বড় ধরনের অভিযান পরিচালিত হবে।”

তিনি আরও জানান, বস্তির একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং নিয়মিতই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তবু এলাকাবাসীর প্রশ্ন—যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তার বিরুদ্ধে কি প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবেই নীরব? আরফিনার গ্রেফতার না হওয়ার পেছনে কী কারসাজি লুকিয়ে আছে, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category