রবিন চৌধুরী রাসেল, রংপুর:
রংপুর নগরীর ধাপ হাজী পাড়ার তানজিমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ইমাম হাসান (৯) নামে একজন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন প্রশাসন।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে ওই শিশুর শয়ন কক্ষে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়। শিশুটি ২০২২ সালে থেকে এই মাদ্রাসায় পরাশুনা করে আসছিলো।
পিতা শহিদুল ইসলাম ও মাতা ফাতেমা বেগম দম্পতির সন্তান ছিলেন ইমাম হাসান। গ্রামের বাসা গাইবান্ধা জেলার খামার বাগচি এলাকার সাদুল্ল্যাপুর থানার বাসিন্দা। তার বাবা শহিদুল ইসলাম পেশায় একজন চাকুরিজীবি। চাকুরী সুত্রে রংপুরেই বসবাস করেন। শহিদুল ইসলামের ২ বউ ও ঘর সংসার থাকায় তেমন চোখে দেখতেন না। শিশুটি দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহে অশান্তিতে ভুগছিলেন।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলেন, শিশুটি পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। তবে পারিবারিক সমস্যার কারণে শিশুটি সবসময় চিন্তায় চিন্তায় থাকতেন। যেহেতু শিশুটির বাবার দুই ঘর সংসার এতে কিছু ঝামেলা ছিল। শিশুটি মারা যাবার আগে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলেন আর বাড়ি থেকে ফিরে মাদ্রাসায় এসে শিশুটি মারা যান।
মাদ্রাসার হুজুর জানান ঘটনার দিনে শিশুটি মাদ্রাসায় রেখে গেলে যে রুমে থাকতেন হঠাৎ করে সেই রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর তাকে ডাকাডাকি করলে না শুনলে শিশুটির বাবাকে ফোন দিলে শিশুর বাবা বলেন ওকে তালা দিয়ে রাখেন ও মরে গেলেও আমি যাবো না ওর লাশ নিয়ে আসবো,আপনারা পারলে ওকে হাত-পা বেধে পিটান, রুমের তালা লাগায় দিন ও মারা গেলে যাবে ওর লাশ নিয়ে যাবো আমি । তারপরও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশুটির বাবাকে অনুরোধ করলেও শোনেন নি সন্তানের পিতা শহিদুল ইসলাম বরং তিনি বলেন ও মারা গেলে কিছু হবে না আপনাদের মাদ্রাসায় কেউ কিছু বলবেনা আমি তার গ্যারান্টি দিলাম।
তবে প্রশাসন, গোয়েন্দা দপ্তর ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অনুমান করেছেন যে এই মৃত্যুটা আসলেই রহস্যজনক।
মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, মৃত্যুর সঙ্গে কে জড়িত তা আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।