• মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
তারাগঞ্জে মা কর্তৃক নিজ সন্তানকে জবাই করে হত্যা ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪, কর্তৃক সোনার বাংলা পরিবহন নামীয় বাস থেকে হেরোইনসহ মাদক কারবরি গ্রেফতার ০২ খাগড়াছড়িতে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদুল্লাহর মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক চাঁদপুরে নবজাতককে দাফনের আগে নড়ে ওঠা, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে দলবল নিয়ে থানায় জামায়াত নেতা ময়মনসিংহ সিপিএসসি র‍্যাব ১৪ কর্তৃক ধর্ষন মামলার অভিযুক্ত প্রধান আসামি গ্রেফতার রংপুরে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু  ময়মনসিংহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

রংপুরে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসায় শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু 

Reporter Name / ১৪ Time View
Update : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রবিন চৌধুরী রাসেল, রংপুর:

 

রংপুর নগরীর ধাপ হাজী পাড়ার তানজিমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীতে  অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ইমাম হাসান (৯) নামে একজন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন প্রশাসন।

 

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক বিকেল ৫টার দিকে ওই শিশুর শয়ন কক্ষে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।  শিশুটি ২০২২ সালে থেকে এই মাদ্রাসায় পরাশুনা করে আসছিলো।

 

পিতা শহিদুল ইসলাম ও মাতা  ফাতেমা বেগম দম্পতির সন্তান ছিলেন ইমাম হাসান। গ্রামের বাসা গাইবান্ধা জেলার খামার বাগচি এলাকার  সাদুল্ল্যাপুর থানার বাসিন্দা।  তার বাবা শহিদুল ইসলাম পেশায় একজন চাকুরিজীবি। চাকুরী সুত্রে  রংপুরেই বসবাস করেন। শহিদুল ইসলামের ২ বউ ও ঘর সংসার থাকায় তেমন চোখে দেখতেন না। শিশুটি  দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহে অশান্তিতে ভুগছিলেন।

 

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলেন, শিশুটি পড়াশোনায়  মেধাবী ছিলেন। তবে পারিবারিক সমস্যার কারণে শিশুটি সবসময় চিন্তায় চিন্তায় থাকতেন। যেহেতু শিশুটির বাবার দুই ঘর সংসার এতে কিছু ঝামেলা ছিল। শিশুটি মারা যাবার আগে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলেন আর বাড়ি থেকে ফিরে মাদ্রাসায় এসে শিশুটি মারা যান।

 

মাদ্রাসার হুজুর জানান ঘটনার দিনে শিশুটি মাদ্রাসায় রেখে গেলে যে রুমে থাকতেন হঠাৎ করে সেই রুমে গিয়ে  দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর তাকে ডাকাডাকি করলে না শুনলে  শিশুটির  বাবাকে ফোন দিলে  শিশুর বাবা বলেন ওকে তালা দিয়ে রাখেন  ও মরে গেলেও আমি যাবো না ওর লাশ নিয়ে আসবো,আপনারা পারলে ওকে হাত-পা বেধে পিটান, রুমের তালা লাগায় দিন ও মারা গেলে যাবে ওর লাশ নিয়ে যাবো আমি । তারপরও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ  শিশুটির বাবাকে অনুরোধ করলেও শোনেন নি সন্তানের পিতা শহিদুল ইসলাম বরং তিনি বলেন ও মারা গেলে কিছু হবে না আপনাদের মাদ্রাসায় কেউ কিছু বলবেনা আমি তার গ্যারান্টি দিলাম।

 

তবে প্রশাসন, গোয়েন্দা দপ্তর ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অনুমান করেছেন যে এই মৃত্যুটা আসলেই রহস্যজনক।

 

মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, মৃত্যুর সঙ্গে কে জড়িত তা আমরা খতিয়ে দেখছি, তদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।


আপনার মতামত লিখুন :
More News Of This Category